মোঃ আজগার আলী,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা্ আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদ আদর্শ গ্রামে আয়েশা খাতুন (৬০) নামে মহিলার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে আশাশুনি থানা পুলিশ। তাকে হত্যা করা হয়েছ না আত্মহত্যা করা হয়েছে এ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। পুলিশ মৃতার ছেলে ও ছেলে বউকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ৯.৩০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র ও মৃতার ভাই বউ রাশিদা খাতুন চিৎকার দিয়ে আহাজারী করে বলেন, আক্কাছ মোল্যার মৃত্যুর পর থেকে আয়েশা খাতুন সন্তান বউয়ের সংসারে বাস করতেন। খাওয়া দাওয়া নিয়ে প্রায়ই ছেলে বউ বকাঝকা ও মারপিট করতো। আজ বুধবার সকালে তার ছেলে রমজান ও বউমা মিনারা তার সাথে বকাঝকা ও মারপিট করেছিল। গোলযোগোর একপর্যায়ে তারা বালিশ চাপা বা শ্বাসরোধ করে হত্যার পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে দেয়।

এরপর তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে চিৎকার করতে থাকলে পাসের শিল্পী খাতুনসহ অন্যরা এগিয়ে গেলে বটি দিয়ে ওড়না কেটে নামানো হয়। স্থানীয় এক চিকিৎসককে ডাকা হলে  তিনি পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত সংবাদ শুনে ছেলে রমজান পালিয়ে গেলে রামনগর গ্রাম থেকে জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্ধ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌছে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেন এবং ছেলে রমজান ও বউমা মিনারা খাতুনকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মৃত আয়েশার ভাই মোক্তাজুল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে।

বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা জানান, ছেলে বউ এর নির্যাতনে প্রায়ই আয়েশা খাতুন জর্জরিত ছিল। অনেকবার তাদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আজ তিনি মৃতুবরণ করলেন। এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়না তদন্ত রিপোর্টে বেরিয়ে আসবে। ছেলে বউকে পুলিশ আটক করেছে।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম পিপিএম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। শরীরে মারপিটের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে ছেলে ও বউ মৃতার সাথে বকাঝকা ও মারধর করতো এবং আজও এমনটি হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন বলে তিনি জানান।